শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১০:২২

এক বিদ্যালয়ের ৫০ ছাত্রীর বাল্য বিয়ে! 

অনলাইন ডেস্ক
এক বিদ্যালয়ের ৫০ ছাত্রীর বাল্য বিয়ে! 

এক বিদ্যালয়ের ৫০ ছাত্রীর বাল্য বিয়ে হয়ে গেছে। বাল্য বিয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনাটি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আলীপুর মাধ্যমিক উচ্চ বিদ্যালয়ের। এ নিয়ে স্থানীয় সংবাদপত্রে বলা হয়েছে, উক্ত বিদ্যালয়ের এ বছর ৬৬ ছাত্রীর বিয়ে সম্পন্ন হয়। যার মধ্যে ৫০ জন ছাত্রী বাল্য বিয়ের শিকার।

বুধবার আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে ইউপি কার্যালয়ে উক্ত ইউনিয়নের ৪টি স্কুলের শিক্ষক, অভিভাবক এবং আলীপুর ইউনিয়ন বাল্যবিবাহ নিরোধ কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠক হয়েছে। গত মঙ্গলবার গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর এসব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার ইউনিয়নের চার স্কুলের শিক্ষক, ইউপি চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বৈঠক ডেকেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির। ইউএনও ও ইউপি চেয়ারম্যানরা এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, আলীপুর ইউনিয়নের আলীপুর আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় নামের স্কুলটির ৬৬ ছাত্রীর এ বছর বিয়ে হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ জনের বাল্যবিবাহ হয়েছে।

সাতক্ষীরা সদর ইউএনও ফাতেমা-তুজ-জোহরা বলেন, সংবাদপত্রে একটি স্কুলের এত সংখ্যক ছাত্রীর বাল্যবিবাহের ঘটনা প্রকাশের পর এ নিয়ে করণীয় ঠিক করতে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সুপারিশ তুলে ধরতে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে আহ্বায়ক, উপজেলা মহিলাবিষয়ক কর্মকর্তাকে (কর্মসূচি কর্মকর্তা) সদস্যসচিব এবং উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে সদস্য করা হয়েছে।

ইউএনও আরো বলেন, ‘আমি গতকাল (বুধবার) ওই স্কুলসহ পাশের আরেকটি স্কুল পরিদর্শন করে শিক্ষকদের সঙ্গে দুই দফায় বৈঠক করেছি। আসছে শনিবার স্কুলটিতে বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে একটি সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেখানে শিক্ষক, অভিভাবক, ছাত্রী এবং বেসরকারি সংগঠনের (এনজিও) কর্মীদের অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া বাল্যবিবাহ হওয়ার আগেই যেন তথ্য পাওয়া যায়, সে জন্য স্বেচ্ছাসেবক দলকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আলীপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. আবদুর রউফ বলেন, ‘বাল্যবিবাহের শিকার মেয়েদের অভিভাবককে ডাকব। তারা কেন এই কাজ করল?

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির প্রশাসনিক প্রধান মো. সাকিবুর রহমান বলেন, শিক্ষকদের সাতটি দলে ভাগ করে ছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে একটি দলের কাছে জানতে পেরেছেন, তাঁরা সাতটি বাল্যবিবাহ শনাক্ত করেছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, এই স্কুলেও বাল্যবিবাহের সংখ্যা ৪০-৫০ হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ কাল ইউনিয়ন পরিষদে তাদের তথ্য জমা দেবে। ওই ইউনিয়নের বাকি দুটি স্কুল হচ্ছে মাহমুদপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাহমুদপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়